শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২২

প্রতিপক্ষ বটে

 প্রতিপক্ষ বটে

 নিধুভূষণ দাস


ঘরের ভেতরে একান্তে

 একাত্ম তুমি আর আমি,অভিন্ন

বাইরে যদিও প্রবল প্রতিপক্ষ।


না,আমরা এক পরিবার নই

সংকটে পড়লে তোমার শরন লই

বাইরে বীরাগ দেখাই,ঘরে অনুরাগে

চোখ তুলে শুধোই,"ভালতো!

এসেছি আর্জি নিয়ে,রাখতে হবে

এবারও বরাবরের মতোই।"


"ভাল আছো, মণীষা?অনেকদিন পর

এলে এবার,প্রয়োজন বড় বালাই

আবার এস প্রয়োজন ছাড়া।"

শনিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

নাচছে মৃত‍্যু,নাচছে ধ্বংস

 নাচছে মৃত‍্যু,নাচছে ধ্বংস

নিধুভূষণ দাস



উড়ছে হাউই মুহুর্মুহু

আকাশ রাঙা,ঝরছে তারা

দালানকোঠায়,হাটেবাটে

উঠছে ধোঁয়া,জ্বলছে বাড়ি

নাচছে মৃত‍্যু,নাচছে ধ্বংস।


উড়ছে হাউই মুহুর্মুহু

আলোর খেলা আকাশে

তাপ বেড়েছে গ্রাম শহরে

ছুটোছুটি চেঁচামেচি

বাতাস ভারি ক্রন্দনে।


নাচছে মৃত‍্যু,নাচছে ধ্বংস।

লাশের পাহাড় রাস্তাঘাটে

স্কুলবাড়ি হাসপাতাল

মৃত‍্যুপুরি ফ্ল‍্যাটবাড়িও

এই উৎসব দেখতে দারুন।

  

                (২)


পুটিমারীর জঙ্গলে

শিয়াল রাজা শাসন করে

স্বরাষ্ট্রে বাঘ,প্রতিরক্ষায় পশুরাজ

 তর্জনে আর গর্জনে

কম্পমান আর সবাই।


               (৩)


নাচছে মৃত‍্যু,নাচছে ধ্বংস

দেখছে  রাজা দেখছে মন্ত্রী

হেসে তারা কুটিকুটি।

উড়ছে হাউই মুহুর্মুহু

আকাশ রাঙা,ঝরছে তারা।



রবিবার, ২ জানুয়ারী, ২০২২

সেই পলাশ-রাঙা রাজপথ

 সেই পলাশ-রাঙা রাজপথ

নিধুভূষণ দাস


সেদিনও রাজপথ পলাশ-রাঙা ছিল

আকাশ ছিল আলোয় উজ্জ্বল

সেইদিনই সবুজ বাংলায় রক্তলাল 

সূর্য উঠেছিল,মনে পড়ে?


ইডেনের সামনে তুমি আর আমি

চোখে শঙ্কা, ঠোঁট কাঁপছিল,

বলেছিলে, কী জানি কী হয়!

ভাবলাম শুধোই,সূর্যোদয়ে কেন ভয়?


এইমাত্র আজিমপুরের এই পথে

নতুন পতাকা হাতে অজস্র মানুষের

মিছিল গেল স্লোগান মুখর:

"তোমার  আমার ঠিকানা

 পদ্মা-মেঘনা-যমুনা"।


সেদিন টিএসসি-তে তুমি গেয়েছিলে

"আমার সোনার বাংলা", আজ এই

সোনার পতাকায় ভয় পেলে চলে?

চলো যাই,রমনার রেস্তোরাঁয়।


কফি কাপে চুমুক দিয়ে বললে,

ঝালকাঠি  ফিরে যাবো কাল

দেখা হবে হয় যদি নতুন সূর্যোদয়।


দেখা হয়েছিল লবন হ্রদে, উদ্বাস্তু শিবিরে

বিজয় এলো মুক্তিযুদ্ধে,আবার গাইলাম

আমরা "আমি কি ভুলিতে পারি আমার 

ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি"?


বিজয়ের পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে

ব্ল‍্যাক কফি হাতে দুই প্রৌঢ় বসে 

আছি মুখোমুখি,অবসরে।

মনে পরে সেদিনের রমনার কফি?