শুক্রবার, ১২ মে, ২০২৩

তোমার গহ‌নে

 তোমার গহ‌নে

নিধুভূষণ দাস 


তোমার গহ‌নে আমার আশ্রয়

দেখেছি অ‌নেকটা,বা‌কি তবু

র‌য়ে গে‌ছে কতটা, জা‌নিনা।


তোমার গ্রীবা কি‌সের ম‌তো

বল‌তে পা‌রি, জিহ্বা কতটা

খসখ‌সে জা‌নি,মু‌খের সুবা‌সে

মাতাল হই, কা‌মি‌নীর গন্ধে 

সা‌পের ম‌তো,তবু কত অজানা!


শরী‌রের প্র‌তি‌টি খাঁজ অনায়া‌সে

আবৃ‌তি কর‌তে পা‌রি,চু‌লের ডগার

ছোঁয়ায় অ‌লেী‌কিক শিহরণ জা‌গে।


ম‌নের প্র‌তি‌টি ভাঁ‌জে কী খেলা ক‌রে

দে‌খি আ‌মি অবলীলায়।তাও যখন

মুচ‌কি হেসে ব‌লো, "আ‌মি অথই"

ভা‌বি, সৃষ্টি‌কে কতটাই বা চি‌নি?


তবু বল‌তে পা‌রি,ই‌চ্ছে কর‌লে

পাথরে তোমা‌র সৃষ্টি কর‌তে পা‌রি

নি‌টোল নির্মল রূপ,তারপর হয়‌তো

ব‌লে উঠ‌বো, "মাতৃরূ‌পেণ সং‌স্থিতা!"

 







মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০২৩

রক্তপাতে দোষ নেই

 রক্তপাতে দোষ নেই

নিধুভূষণ দাস


"Out damned spot!Out,I say!"


এক রাতে রাজরক্তে রঞ্জিত করেছিলে

নিজের হাত,খুন করেছিলে আঁধারের
পবিত্রতা,নিদ্রার প্রশান্তি।

আজ রাতে ঘুমাও যখন,এক হয়না‌ 

চোখের পাতা,ছোট্ট প্রদীপের

 আলোয় হাত ধোয় অবিরাম, রক্তের

দাগ আর ঘ্রাণ মুছে দিতে,বলে যাও,

"ওহ্ আরবের সব সুগন্ধি পারবেনা

 এই রক্তের গন্ধ‌ দূর করতে!"


আজও তুমি সক্রিয়, ক্ষমতার টান আর

 রক্তের ঘ্রাণ একাকার হয়ে তোমাকে

বলে, "রক্তপাতে দোষ নেই,

জীবনের চেয়ে পবিত্র সিংহাসন।"


শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩

দ্রেীপদীর প্রশ্ন

 দ্রেীপদীর প্রশ্ন

নিধুভূষণ দাস 


লাাঞ্ছি‌তা দ্রেীপদী কুরুসভায় দৃঢ়তায়

প্রশ্ন কর‌লেন,"পাশায় হে‌রে ক্রীতদাস

যুধি‌ষ্ঠির তাকে বাজি রাখেন কীভা‌বে?"

রা কা‌ড়েন‌নি উপ‌স্থিত ভীষ্ম পিতামহও

আমরাও বি‌বেক বন্ধক রাখি স্বা‌র্থের কা‌ছে।


বিদুর আর বিকর্ণ ব‌লেন,এই বা‌জি অ‌বৈধ,

দ্রেীপদী স্বাধীন,এই সহজ কথা‌টি অকপ‌টে

বল‌তে পা‌রেন‌নি জ্যেষ্ঠ জ‌নেরা। আজও

অনাচার দি‌কে‌ দি‌কে, আছেন পিতামহগণও

নেই শুধু প্র‌তিবাদে সোচ্চার বিদুর,বিকর্ণরা।


সেদিন জিতে‌ছিলেন  দ্রেীপদী,জয় পায়

বি‌বেক নিসৃত যথার্থ প্র‌তিবাদ।আজ ?

থাক সেকথা,প্র‌তিবাদে ভরপুর দেখি

সংবাদপত্র,টি‌ভি প্র‌তি‌দিন।