জ্যোৎস্নায়ও দেখি ঘোর অন্ধকার
নিধুভূষণ দাস
ভাল আছ তোমরা পূর্বগামী পূর্বজ
উপণিষদ যুগের নিসর্গ নিয়মে
অন্তহীন আকাশের অসীমে লীন হয়ে।
বিবর্ণ নিখিলে ধর্মনাশী সময়ে
জল-বায়ুর ধর্ম গেছে
আমাদের ছড়ানো দূষণে।
সমাজও হয়েছে হিংসাধ্বস্ত
ক্ষমতার অশ্লীল আস্ফালনে।
আমি কি পারিনা ছড়াতে
একমুঠো শুভাশিস এই প্রাতে!
পারছি কই এই ধর্ম-বিভ্রান্তির
অন্ধকার সকালে?
ফুল বাগানের ওপারে
তোমাদের উঠোনে
কার্তিকের জ্যোৎস্নায়
বসতে পারে না কি
রূপসী বাংলার কবিতা
পাঠের আসর?
কই দেখিনা তো!
আমি যে আমার মতো
পারিনা ভাবিতে,চলিতে,বলিতে
জীবিত মা-বাবার স্মৃতি তর্পনে
প্রজ্ঞার আতিশয্যে মস্তক মুণ্ডন
স্বেচ্ছায় করি আরোপিত ভাবনায়।
আমি জ্যোৎস্নায়ও দেখি ঘোর অন্ধকার।