ভূতের গল্প (৪)
নিধুভূষণ দাস
পরলোকের এই মেয়েটির কথা শুনে আমার কবির কথা মনে পড়লো যিনি বলেছেন ,মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে /মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই। পরলোকে গিয়েও কি মানুষ এই সুন্দর পৃথিবীর কথা ভুলতে পারেনা ,মায়া ছাড়তে পারেনা ?আবার সঙ্গে সঙ্গে এও ভাবলাম , কী করতে পারবে ওরা আমাদের ,আমাদের প্রযুক্তি দিন দিন এতো উন্নত হচ্ছে যে, আমরা হয়তো অচিরেই ওদের ব্লক করে দিতে পারবো ,তখন আর পৃথিবীর সঙ্গে ওদের কোনো সংযোগ থাকবেনা। ওদের এধরনের হুমকিতে আমাদের আর ভয়ের কিছু থাকবেনা ,আমরা নির্ভয়ে যাচ্ছেতাই করে যেতে পারবো ,দিল্লিতে তথা দেশের নানা স্থানে ধর্ষিতা হয়ে নির্ভয়ারা মারা যাবে ,আমরা দুদিন-তিনদিন মোমবাতি মিছিল করে শান্ত হয়ে যাবো ,দেশ এবং পৃথিবী আপন গতিতে চলতে থাকবে নিজের ছন্দে। ভাবছিলাম আর মনে মনে হাসছিলাম। এমন সময় ও বলে উঠলো ,কী, ভাবছো আমরা তোমাদের কিছু করতে পারবোনা। ভুল ,প্রযুক্তির গরিমাই তোমাদের কাল হবে ,তোমরা ডুবে যাবে । ঠেকাতে পারো ভূমিকম্প ,সুনামি আর নানারকম ঘুর্নিঝড়ের মতো বিপর্যয় ?পারোনা । তোমাদের প্রযুক্তির চেয়ে প্রাকৃতিক শক্তি অনেক বেশি শক্তিশালী। আমরা প্রকৃতিরই অঙ্গ ,বুঝলে ।
যাকগে ,শয়তান না শোনে ধর্মের কাহিনি। তুমি যদি মানে করো তোমার সঙ্গে আমার কিছু করার নেই তবে আমি আসি ,আর সময় নষ্ট করবোনা অযথা। আমার কথাগুলি মানে হয় ভালো লাগছেনা তোমার। এই কথা শুনে আমার হঠাত আবার ভয় ধরে গেলো। হাত জোড় করে বললাম ,না ভালো লাগছে ,বলো-কত অজানা কথা জানতে পারছি ,তুমি না বললে তো জানতেই পারতামনা পিংকি কীভাবে মারা গেলো। ও আমার এই কথায় খুশি হলো। বললো ,জানো ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা নারী নির্যাতন করেছে ,গণহত্যা আর লুটপাট চালিয়েছে তাদের তো বাংলাদেশে সরকারিভাবে পুনর্বাসন হয়ে গিয়েছিলো।দেখলেতো আবার তাদের বিচার শুরু হলো এত বছর পর ,ফাঁসিও হয়ে গেছে ,আরও হবে। আমরা না থাকলে তা হত না গো । আমাদের প্রভাবেই তা সম্ভব হচ্ছে ,কিছু মানুষের বিবেককে আমরাই নাড়া দিয়েছি ,তারাই শাহবাগ আন্দোলন করেছে ,তার আগে আমাদের ইচ্ছায়ই বাংলাদেশের আজকের শাসকরা তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে একাত্তুরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার রেখেছিলো। বিশ্বাস হচ্ছেনা তো। হবে একদিন নিশ্চিত যদি এনিয়ে মাথা ঘামাও । তোমাদের মুস্কিল কী জানো ? তোমরা কোনো বিষয়েই ঐকান্তিক নও ,বড়ো বেশি আত্মকেন্দ্রিক ,চারপাশে কী ঘটছে তা নিয়ে মাথা ঘামাতে চাওনা ,ফলে শয়তানদের পোয়াবারো। এমন চলতে থাকলে শেষ পর্যন্ত শয়্তানরাজ কায়েম হবে ,তোমরা পোষা পশুর মতো জীবন যাপন করতে বাধ্য হবে।
অনেক বকবক করলাম ,এখন বলো তোমার মেয়ে আন্নুর কথা. ও কত বড়,কীকরে,ওর ভবিষ্যত নিয়ে কী ভাবনা তোমার। (চলবে )
নিধুভূষণ দাস
পরলোকের এই মেয়েটির কথা শুনে আমার কবির কথা মনে পড়লো যিনি বলেছেন ,মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে /মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই। পরলোকে গিয়েও কি মানুষ এই সুন্দর পৃথিবীর কথা ভুলতে পারেনা ,মায়া ছাড়তে পারেনা ?আবার সঙ্গে সঙ্গে এও ভাবলাম , কী করতে পারবে ওরা আমাদের ,আমাদের প্রযুক্তি দিন দিন এতো উন্নত হচ্ছে যে, আমরা হয়তো অচিরেই ওদের ব্লক করে দিতে পারবো ,তখন আর পৃথিবীর সঙ্গে ওদের কোনো সংযোগ থাকবেনা। ওদের এধরনের হুমকিতে আমাদের আর ভয়ের কিছু থাকবেনা ,আমরা নির্ভয়ে যাচ্ছেতাই করে যেতে পারবো ,দিল্লিতে তথা দেশের নানা স্থানে ধর্ষিতা হয়ে নির্ভয়ারা মারা যাবে ,আমরা দুদিন-তিনদিন মোমবাতি মিছিল করে শান্ত হয়ে যাবো ,দেশ এবং পৃথিবী আপন গতিতে চলতে থাকবে নিজের ছন্দে। ভাবছিলাম আর মনে মনে হাসছিলাম। এমন সময় ও বলে উঠলো ,কী, ভাবছো আমরা তোমাদের কিছু করতে পারবোনা। ভুল ,প্রযুক্তির গরিমাই তোমাদের কাল হবে ,তোমরা ডুবে যাবে । ঠেকাতে পারো ভূমিকম্প ,সুনামি আর নানারকম ঘুর্নিঝড়ের মতো বিপর্যয় ?পারোনা । তোমাদের প্রযুক্তির চেয়ে প্রাকৃতিক শক্তি অনেক বেশি শক্তিশালী। আমরা প্রকৃতিরই অঙ্গ ,বুঝলে ।
যাকগে ,শয়তান না শোনে ধর্মের কাহিনি। তুমি যদি মানে করো তোমার সঙ্গে আমার কিছু করার নেই তবে আমি আসি ,আর সময় নষ্ট করবোনা অযথা। আমার কথাগুলি মানে হয় ভালো লাগছেনা তোমার। এই কথা শুনে আমার হঠাত আবার ভয় ধরে গেলো। হাত জোড় করে বললাম ,না ভালো লাগছে ,বলো-কত অজানা কথা জানতে পারছি ,তুমি না বললে তো জানতেই পারতামনা পিংকি কীভাবে মারা গেলো। ও আমার এই কথায় খুশি হলো। বললো ,জানো ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা নারী নির্যাতন করেছে ,গণহত্যা আর লুটপাট চালিয়েছে তাদের তো বাংলাদেশে সরকারিভাবে পুনর্বাসন হয়ে গিয়েছিলো।দেখলেতো আবার তাদের বিচার শুরু হলো এত বছর পর ,ফাঁসিও হয়ে গেছে ,আরও হবে। আমরা না থাকলে তা হত না গো । আমাদের প্রভাবেই তা সম্ভব হচ্ছে ,কিছু মানুষের বিবেককে আমরাই নাড়া দিয়েছি ,তারাই শাহবাগ আন্দোলন করেছে ,তার আগে আমাদের ইচ্ছায়ই বাংলাদেশের আজকের শাসকরা তাদের নির্বাচনী ইস্তাহারে একাত্তুরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের অঙ্গীকার রেখেছিলো। বিশ্বাস হচ্ছেনা তো। হবে একদিন নিশ্চিত যদি এনিয়ে মাথা ঘামাও । তোমাদের মুস্কিল কী জানো ? তোমরা কোনো বিষয়েই ঐকান্তিক নও ,বড়ো বেশি আত্মকেন্দ্রিক ,চারপাশে কী ঘটছে তা নিয়ে মাথা ঘামাতে চাওনা ,ফলে শয়তানদের পোয়াবারো। এমন চলতে থাকলে শেষ পর্যন্ত শয়্তানরাজ কায়েম হবে ,তোমরা পোষা পশুর মতো জীবন যাপন করতে বাধ্য হবে।
অনেক বকবক করলাম ,এখন বলো তোমার মেয়ে আন্নুর কথা. ও কত বড়,কীকরে,ওর ভবিষ্যত নিয়ে কী ভাবনা তোমার। (চলবে )
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন